
“বিধি-নিষেধ নাই, তাই চাই ভোট”—নির্বাচন কমিশনার নিজেই প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে ভোটকেন্দ্রকেই বানালেন স্টার্টআপ ধারণা!
বাংলাদেশে রাজনীতিতে অদ্ভুততা নতুন কিছু নয়, কিন্তু এবার যিনি ইতিহাস গড়লেন, তিনি নিজেই নিয়মের পাহারাদার। নির্বাচন কমিশনের এক সদস্য প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, “বিধি-নিষেধ নেই, তাই ভাবছি নিজের এলাকাতেই প্রার্থী হই।”
দেশজুড়ে চমক। যিনি প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই করবেন, তিনি নিজেই মনোনয়ন তুলতে চান! এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করলেন, “স্যার, এটা কি স্বার্থের সংঘাত না?” কমিশনার হেসে উত্তর দিলেন,
“না, এটা স্বপ্নের সংঘাত। এত নির্বাচন পরিচালনা করেছি, ভাবলাম এবার নিজের কপালটা যাচাই করি।”
এই এক মন্তব্যেই নির্বাচন কমিশন রূপ নিল ব্যঙ্গের উৎসবে।
টক শোগুলোতে এখন মজার বিশ্লেষণ চলছে—“আগে প্রার্থী ভোট চাইত, এখন কমিশনারই চাইবে!”
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে ঝড়। কেউ লিখছে, “দেশে গণতন্ত্র এতই স্বচ্ছ, কমিশনাররাও এখন অংশ নিতে পারেন!” আরেকজনের তীব্র রসিকতা, “নির্বাচন কবরে নামছে, আর কমিশনার সেই কবরে দাঁড়িয়ে ভোট চাইছেন—‘আমাকেও একটু ভোট দিন ভাই!’”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও ম্লান মুখে হাসছেন। এক প্রফেসর মন্তব্য করেছেন,
“লোকজন এখন ভোট দিতে ভয় পায়, কমিশনার ভোট চাইতে ভয় পায় না—এটাই বাংলাদেশের জনগণতন্ত্র।”
এমনকি গ্রামাঞ্চলেও আলোচনার ঝড়। এক চা দোকানদার বলল,
“আমরা ভেবেছিলাম নির্বাচন কমিশন মানে রেফারি—এবার দেখি, রেফারিই খেলোয়াড়!”
অন্যদিকে কিছু সমর্থক বলছেন, নিয়মে সত্যিই বাধা নেই। তাহলে সমস্যা কোথায়? এক সমর্থকের যুক্তি, “গণতন্ত্র মানে তো অংশগ্রহণ, তাহলে কমিশনারও অংশ নিচ্ছেন—কী দোষ?”
