অধ্যাপক আলী রিয়াজের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন ও জোরপূর্বক গর্ভপাতের গুরুতর অভিযোগ

TOI BANGLA DESK:
 বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক আলী রিয়াজের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন, প্রতারণা এবং জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন অতন্দ্র নূরী পা নামের এক নারী। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে তিনি এই অভিযোগ করেন। নিজেকে একজন কবি হিসেবে পরিচয় দিয়ে ওই নারী দাবি করেন, বর্তমানে তিনি প্রাণনাশের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ভিডিও বার্তায় অতন্দ্র নূরী জানান, কবিতার সূত্র ধরে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফেসবুকে অধ্যাপক আলী রিয়াজের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আলী রিয়াজ নিজের একাকিত্ব ও নিঃসঙ্গতার কথা শেয়ার করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে।
অভিযোগকারী বলেন, “গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ড. ইউনূস সরকারের হয়ে কাজ করতে তিনি (আলী রিয়াজ) ঢাকায় আসেন এবং আমাকে ডেকে নেন। আমরা প্রথমে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কয়েকদিন থাকি এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে যাই।”
ওই নারীর দাবি, অধ্যাপক রিয়াজ তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়েছিলেন এবং খুব দ্রুত তাকে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শারীরিক সম্পর্কের একপর্যায়ে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উনি বারবার আমাকে বুঝিয়েছিলেন যে উনার ভ্যাসেকটমি করানো আছে, তাই প্রোটেকশনের প্রয়োজন নেই। আমি উনার মতো বড় মাপের মানুষকে বিশ্বাস করেছিলাম।”
ভিডিওতে তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রেগন্যান্সি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই আলী রিয়াজ তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। এরপর দিলরুবা শারমিন নামের এক নারী তাকে ফোন করে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে এবং আলী রিয়াজের বিপদের কথা বলে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেন। একপর্যায়ে তাকে বুঝিয়ে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত (অ্যাবরশন) করানো হয়।
অতন্দ্র নূরী অভিযোগ করেন, গর্ভপাতের পর আলী রিয়াজ তার সঙ্গে সবধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ওপর নেমে আসে মানসিক নির্যাতন ও হুমকি। তিনি বলেন, “পুলিশ আমাকে হুমকি দিচ্ছে। আমাকে তুলে নিয়ে গুম করার ভয় দেখানো হচ্ছে। আমি ভয়ে ফোন বন্ধ করে বোরখা পরে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। নিজের বাসাতেও থাকতে পারছি না।”
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই নারী বলেন, “আমি সাধারণভাবেই বাঁচতে চাই। আমি পাবলিকলি কোনো কথা বলতে চাইনি, কিন্তু উপায় না পেয়ে আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি। আমি তো তার কোনো ক্ষতি করিনি, তাহলে উনি কেন আমাকে স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে দিচ্ছেন না?”
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত অধ্যাপক আলী রিয়াজ বা সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *